সবুজে ঘেরা বাংলাদেশ। নদী-নালা, খাল-বিল, হাওড়-বাওড়, পাহাড়, উপকূল ও সমতল ভূমি সমৃদ্ধ করেছে দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ। কৃষির অভাবনীয় উন্নয়ন খাদ্যের নিশ্চয়তা দিয়েছে প্রায় ১৭ কোটি মানুষের। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব লাল সবুজের বাংলাদেশকে মাঝে মাঝে হুমকিতে ফেলে দেয়। তবুও অদম্য মানুষ থেমে নেই। সকল প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে মধ্যম আয়ের দেশের দারপ্রান্তে বাংলাদেশ। নগরায়ন, শিল্পায়ন ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ড দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে । এই সব উন্নয়ন কর্মকান্ডের অবশ্যম্ভাবী পরিণতি হিসেবে পরিবেশ হুমকির সম্মুখিন হচ্ছে যা আজ সারা পৃথিবীর অন্যতম আলোচিত বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছে । এ প্রেক্ষাপটে ১৯৭৭ সালে পরিবেশ দূষণ অধ্যাদেশের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ সেল গঠন করা হয়। পরবর্তীকালে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস কমিটির সুপারিশ ক্রমে ১৯৮৫ সালে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর গঠন করা হয়। ১৯৮৯ সালে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় নামে আলাদা মন্ত্রণালয় সৃষ্টি হলে অধিদপ্তরটির নতুন নামকরণ করা হয় পরিবেশ অধিদপ্তর। ২৫/১১/২০১০ সাল থেকে পরিবেশ অধিদপ্তর, কুষ্টিয়া সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনসহ সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিমালাসমূহ যথাযথভাবে প্রয়োগ করে জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে । এ দপ্তরটি নির্ধারিত আইন কাঠামোর মধ্যে নানা সীমাবদ্ধতার মাঝে থেকেও জনসাধারণ, শিল্প প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সেবা প্রদান করছে। কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের আওতাধীন কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ, উন্নয়ন, পরিবেশ দূষণ-প্রশমন এবং সর্বস্তরের জনসাধারণের পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস